Description
অনুপমার প্রেম
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বড়লোক জগবন্ধুবাবুর ছোটো মেয়ে অণুপমা মাত্র এগারো বছর বয়সেই নভেল পড়ে পড়ে নিজের মাথাটি খেয়েছিল। তার অস্বাভাবিক আচরণে শঙ্কিত-বিচলিত হয়ে অভিভাবকেরা তার বিয়ে ঠিক করে। এদিকে অণুপমা গ্রামের রাখাল মজুমদারের সুদর্শন পুত্র সুরেশকে মনে মনে নিজের স্বামীত্বে বরণ করে তারই প্রেমে কাতর হয়ে অভিভাবকদের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে বসে। কন্যাস্নেহে অন্ধ অণুপমার মাও মেয়ের আবদার মেনে নিলেন। কিন্তু সুরেশ বিএ পাঠরত। তাই অণুপমার মা যখন সুরেশের বাড়িতে বিবাহপ্রস্তাব নিয়ে গেলেন তখন প্রথমে তাকে প্রত্যাখ্যাত হতে হল। সুরেশ পরীক্ষার জন্য বিবাহে মত দিল না। তার অভিভাবকেরাও একই গ্রামে ছেলের বিয়ে দিতে চাইলেন না। অগত্যা অণুপমার মা জগবন্ধুবাবুকে বলে কয়ে নগদ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের রাজি করানোর ব্যবস্থা করলেন। টাকার লোভ বড়ো লোভ। বিয়ে স্থির হতে বেশি সময় লাগল না। এদিকে দুর্লভ বসুর একমাত্র পুত্র ললিতমোহন ভালবেসে ফেলেছিল অণুপমাকে। এরপর?